• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

হিলি স্থলবন্দরে বেড়েছে রাজস্ব আদায় 

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪  

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। গত অর্থবছরে একই সময়ের তুলনায় ৪৮ কোটি ২ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব এসেছে। স্থলবন্দর দিয়ে জিরা ও পাথর আমদানি থেকে সবচেয়ে বেশি শুল্ক আসে। চলতি অর্থবছরের শুরুতে জিরার শুল্কায়ন মূল্য দ্বিগুণ করা হয়। পাথরের শুল্কায়ন মূল্যও বাড়ানো হয়েছে।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এ বন্দর দিয়ে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ২৬১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময় যা ছিল ২১৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এ বছরের জুলাইয়ে ৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, আগস্টে ৪৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা, সেপ্টেম্বরে ৩৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, অক্টোবরে ৩৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা, নভেম্বরে ৫২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা এবং ডিসেম্বরে ৫৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার বায়জিদ হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর থেকে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা এখনো নির্ধারণ করে দেয়নি এনবিআর। তারপরও আমরা জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬১ কোটি ১৮ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা ধারণা করছি, গত অর্থবছর স্থলবন্দর থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আহরণ হয়েছিল তার সঙ্গে ৩০ শতাংশ যোগ করে নতুন অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে এনবিআর।

হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের মূল পণ্য জিরা। বন্দর দিয়ে মসলা পণ্যটির আমদানি বাড়লে রাজস্ব আহরণ আরো বাড়বে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জিরা আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়ন মূল্য দ্বিগুণের মতো বাড়িয়েছে। আগে প্রতি টন জিরা ১ হাজার ৮০০ ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করা হলেও সেটি বাড়িয়ে এখন ৩ হাজার ৫০০ ডলার করা হয়েছে। এতে করে বন্দর দিয়ে জিরার আমদানি কমেছে।

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –